ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল্স লি: এর তৈরী এমবোলিট সিরাপ কাশি নিরাময়ের জন্য উপকারী। এর জেনেরিক নাম এমব্রোক্সল হাইড্রোক্লোরাইড।
উপাদান:
এমবোলিট সিরাপঃ প্রতি ৫ মি.লি. সিরাপে রয়েছে এমব্রোক্সল হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ১৫ মি.গ্রা.।
এমবোলিট পেডিয়াট্রিক ড্রপস: প্রতি ১ মি.লি, ড্রপে রয়েছে এমব্রোক্সল হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ৬ মি.গ্রা.।
এমবোলিট সিরাপের কার্যকারীতা:
এমব্রোক্সল, ব্রোমহেক্সিন-এর একটি মেটাবোলাইট। এর মিউকোকাইনেটিক (মিউকাস সঞ্চালন) এবং সিকরেটোলাইটিক (শ্লেষ্মা তরলীকরণ) বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এমব্রোক্সোল ব্রঙ্কাই এর মিউকাস মেমব্রেনের সেরাস কোষগুলোকে উত্তেজিত করে এবং মিউকাস এর নিঃসরণের পরিমাণ বাড়ায়। মিউকোপ্রোটিন এবং মিউকোপলিস্যাকারাইড ফাইবার ডি-পলিমারাইজেশনের মাধ্যমে এটি মিউকোলাইটিক বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে, যা মিউকাসের ঘনত্ব কমায়। এর দ্বারা মিউকাস নিষ্কাশন ত্বরান্বিত হয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস সহজতর হয়। এমব্রোক্সল এলভিওলার কোষের সারফেক্টেন্টের ফসফোলিপিড তৈরী ত্বরান্বিত করে। এমব্রোক্সল এর প্রদাহ বিরোধী বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সিওপিডি রোগীদের শ্বাসনালীর প্রশস্ততা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এমব্রোক্সল মানুষের শরীরে এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। এটি সুসহনীয় হওয়ায় দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না।
নির্দেশনা:
- শ্লেষ্মা যুক্ত শ্বাসতন্ত্রের একিউট ও ক্রনিক প্রদাহ যেমন- একিউট ও ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস
- শ্লেষ্মা যুক্ত কাশি
- শ্রেষ্মাযুক্ত রাইনোফ্যারিঞ্জিয়াল ট্রাক্ট-এর প্রদাহ (যেমনঃ ল্যারিনজাইটিস, ফ্যারিনজাইটিস, সাইনুসাইটিস এবং রাইনাইটিস)
- শ্লেষ্মা যুক্ত এজমাটিক ব্রঙ্কাইটিস, ব্রঙ্কিয়াল এজমা
- ব্রঙ্কিয়েকটেসিস
- ক্রনিক নিউমোনিয়া
এমবোলিট সিরাপ খাওয়ার নিয়ম:
দৈনিক সেবনমাত্রা (খাবারের পর গ্রহণ করা উত্তম)
এমবোলিট পেডিয়াট্রিক ড্রপস:
০-৬ মাস: ০.৫ মি.লি. দিনে ২ বার
৬-১২ মাস: ১.০ মি.লি. দিনে ২ বার
১-২ বছর: ১.২৫ মি.লি. দিনে ২ বার
কাশির সিরাপ ডেক্সপোটেন খাওয়ার নিয়ম ও দাম
এমবোলিট সিরাগ:
২-৫ বছর: ২.৫ মি.লি. (১/২ চা- চামচ) দিনে ২-৩ বার
৫-১০ বছর: ৫.০ মি.লি. (১ চা- চামচ) দিনে ২-৩ বার
১০ বছরের অধিক ও বয়স্ক: ১০.০ মি.লি. (২ চা-চামচ) দিনে ৩ বার
এমবোলিট সিরাপের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া:
কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিপাকতন্ত্রে বিভিন্ন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া যেমন- পেট ব্যথা, পেটভরা ভাব দেখা দিতে পারে। কদাচিৎ এলার্জি, যেমন-
ইরাপশন, চুলকানি, এনজিওনিউরোটিক ইডিমা হতে পারে।
সতর্কতা:
গ্যাস্ট্রিক ও ডিওডেনাল আলসারের রোগীদের এবং খিচুনীর রোগীদের সাবধানতার সাথে এমব্রোক্সল দেয়া উচিত। যাদের যকৃত ও বৃক্কের কার্যক্ষমতার অপর্যাপ্ততা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:
গর্ভাবস্থায়: গর্ভাবস্থায় এমব্রোঞ্জল ব্যবহারে গর্ভস্থ শিশুর কোন রকম ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও গর্ভকালীন সময়ে, বিশেষ করে প্রথম ৩ মাস এমব্রোক্সল ব্যবহার করা উচিত নয়।
স্তন্যদানকালে: স্তন্যদানকালে এমব্রোক্সল ব্যবহার নিরাপদ কি-না তা এখনও প্রতিষ্ঠিত নয়।
প্রতিনির্দেশনা:
এমব্রোঞ্জল বা ব্রোমহেক্সিন এর প্রতি অতিসংবেদনশীলতা থাকলে এটি প্রতিনির্দেশিত।
ড্রাগ ইন্টার্যাকশন:
এমব্রোক্সল এর সাথে কার্ডিও এ্যাকটিভ গ্লাইকোসাইড, কর্টিকোস্টেরয়েড, ব্রঙ্কডাইলেটর ডাই-ইউরেটিক এবং এন্টিবায়োটিক (সাধারনত যেগুলো ব্রঙ্কপালমোনারী এফেকশনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়) এর কোন প্রতিক্রিয়া নাই। তবে এমব্রোক্সল এন্টি-টুসিভ (যেমন-কোডেইন) এর সাথে গ্রহন করা উচিত নয়, সেক্ষেত্রে শ্লেষ্মা যা এমব্রোক্সল দ্বারা তরল হয়েছে তা বের হয়ে যেতে পারে না।
সংরক্ষণ:
৩০°সে, এর নীচে তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত। আলো থেকে দূরে এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
উপসংহার:
কাশির সমস্যা থাকলে এমবোলিট সিরাপ খেতে পারেন। এটি বেশ কার্যকারী একটি কফ সিরাপ। প্রতিটি ওষুধেরই রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ডোজের তারতম্য হয়। তাই সঠিক ডোজ জানার জন্য অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না।