রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখুন
রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর উপরে থাকলে কিডনিতে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিডনি ভালো রাখতে রক্তচাপ সব সময় ১৩০/৮০ অথবা এর কম রাখার চেষ্টা করতে হবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা ও লবণ কম খাওয়া জরুরী।
প্রস্রাব আটকে রাখবেন না
সুলভ শৌচালয় ব্যবহার করতে চান না; তাই বাইরে বের হলে প্রস্রাব আটকে রাখেন? এমন অভ্যাস কিন্তু শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। অনেকক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে তা কিডনিতে চাপ তো ফেলেই, এমনকি চিকিৎসকদের মতে, এমন অভ্যাস দীর্ঘদিন ধরে বজায় রাখলে অচিরেই নষ্ট হতে পারে কিডনি।
মাদক ত্যাগ করুন
ধূমপান ও মদপানের কারণে ধীরে ধীরে কিডনিতে রক্ত চলাচল কমে যেতে থাকে। ফলে কিডনির কর্মক্ষমতাও হ্রাস পায়। তাই এগুলোর অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
দৈনিক ২-৩ লিটার পানি পান করা
পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায় এবং এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।
প্রয়োজনের বেশি ভিটামিন সি খাওয়া যাবেনা
মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি'র প্রয়োজন নেই। নিয়মিত প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । তাই প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম বা এর কম ভিটামিন গ্রহণ করা ভালো ।
টনসিল ফোলা বা প্রদাহ কমানোর উপায়
কোমল পানীয় পরিহার করুন
অনেকেই পানির বদলে কোমল পানীয় বা বিভিন্ন রকমের এনার্জি ড্রিংক্স খেয়ে থাকেন। এ ধরনের পানীয়গুলো কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন এবং যখনই তৃষ্ণা পায়, পানি পান করুন।
কিডনি ভালো রাখার উপায়
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
রোজ অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন (রোজ না পারলেও সপ্তাহে ৫দিন)। হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম ভালো। অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে গরুর গোশত বা এই ধরনের আমিষ খেলে কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এমনকি চিপ্স, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ইন্সট্যান্ট নুডলস্ এবং লবণ দিয়ে ভাজা বাদামও কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। খাবার তালিকায় অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে কিডনির উপর চাপ পড়ে এবং কিডনির দূর্বল কোষগুলোর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন এড়িয়ে খাবার তালিকায় ডাল জাতীয় প্রোটিন রাখতে হবে। এছাড়া মাছ খাওয়া যেতে পারে।
ওষুধ সেবনে সতর্ক হোন
কম বেশি প্রায় সব ওষুধই কিডনির জন্য ক্ষতিকর। বিশেষকরে ব্যথা নাশক ওষুধগুলো কিডিনর জন্য সব সময়ই হুমকি স্বরূপ। নিয়ম না জেনে বা নিজে নিজে ওষুধ কিনে খেলে অজান্তেই কিডনির বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই যেকোন ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন অতিরিক্ত শারীরিক ওজন কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
অতিরিক্ত লবণ পরিহার করুন
খাওয়ার পাতে লবণ খান খুব? এ অভ্যাসে রাশ টানুন আজই।
কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীর থেকে বের করতে পারে না। ফলে বাড়তি লবণের সোডিয়ামটুকু রয়ে যায় কিডনিতেই। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কিডনি।
ডাঃ এ. এস. এম হুমায়ুন কবীর (অপু)
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (ইউরোলজি)
এক্স-কনসালটেন্ট ইউরোলজি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা
সহকারী অধ্যাপক
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা।