ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নিন

 

ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নিন

অনেকের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ফোড়ার সমস্যা হয়ে থাকে। ফোড়ার সমস্যা খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা। ফোড়া হলে অনেকের মারাত্মক যন্ত্রণা হয়ে থাকে। ফোড়ার যন্ত্রনা লাঘব করার জন্য অনেকে অনেক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। ফোড়ার যন্ত্রণা কমানো ও ফোড়ার সমস্যা দূর করার জন্য ঘরোয়া কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। নিম্নে ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় তুলে ধরা হলোঃ

ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় 

ফোড়া যখন পেকে যায় তখন অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব হয়ে থাকে। তখন অনেকেই চাই ফোঁড়াটা দ্রুত ফাটিয়ে নেওয়ার জন্য। তবে ফোড়া যদি কাঁচা থাকে তাহলে সেটা ফাটাতে গেলে অনেক বেশি যন্ত্রণা পোহাতে হয়। তবে ঘরোয়া কয়েকটি উপকরণ ব্যবহার করে খুব সহজেই খোঁড়ার অসহ্য এই যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করতে পারেন।

মসুর ডালঃ যাদের ফোড়া পেকে গিয়েছে কিন্তু কোন ভাবেই ফাটাতে পারছেন না তারা চাইলে মসুর ডাল ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে আপনাদেরকে মুসুর ডাল বেটে সামান্য গরম করে ফোঁড়ার উপর প্রলেপ দিতে হবে। তাহলে দেখবেন কিছু সময়ের মধ্যেই ফোড়াটা ফেটে গিয়েছে। এর মাধ্যমে যন্ত্রণা অনেক কমে যাবে। 

তিলের তেলঃ ফোড়ার অসহ্য যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে তিলের তেলের সঙ্গে নিশিন্দা পাতার রস মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে ফোঁড়ার অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন ও ফোড়াটি দ্রুত গলে যাবে। 

আয়রনের ঘাটতি থেকে হতে পারে ডিপ্রেশন

পেঁয়াজের রসঃ ফোড়া হলে অনেক বেশি ব্যথা হয়ে থাকে। তাছাড়া এর সাথে অনেক যন্ত্রণাও রয়েছে। তাই ফোড়ার ব্যথা কমাতে আপনারা ঘরে থাকা উপকরণ পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যথা অনেকটা কমে আসবে এবং ভালো লাগবে। 

অর্জুন গাছের পাতাঃ ফোড়া হলে অর্জুন গাছের পাতা ব্যবহার করতে পারেন। ফোড়ায় অর্জুন গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখলে অল্প সময়ের মধ্যে ফোঁড়া দ্রুত পেকে যায় ও ফেটে যায়। তাছাড়া এই পাতার রস ক্ষতস্থানে লাগালে ফোঁড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে শুকিয়ে যায়। 

পানের পাতাঃ পানের পাতা ফোড়া সারানোর জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। এজন্য আপনাদেরকে প্রথমে পানের পাতার সোজা পিঠে ঘি মাখিয়ে ফোড়ার উপর বসিয়ে দিতে হবে। তাহলে ফোড়া খুবই অল্প সময়ের মধ্যে পেকে যাবে ও দ্রুত ফেটে যাবে। 

হলুদ গুঁড়োঃ হলুদে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ফ্লিমটারি বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্যগুলো ফোড়ার ব্যাথা থেকে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে মুক্তি দিয়ে থাকে।প্রথমে আপনাদের এক চামচ হলুদ গুড়ার সাথে পানি অথবা দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে । তারপরে ফোড়া আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত তিনবার করে ব্যবহার করলে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। 

নিম তেলঃ নিম তেলে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা সাধারণত ফোড়া সহ ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমনের জন্য দারুন কাজ করে থাকে। দিনে তিন থেকে চারবার নিমপাতার তেল ফোড়ার স্থানে ব্যবহার করলে খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যথা কমবে ও ঘা শুকাবে। 

ক্যাস্টর অয়েলঃ চুল ঘন করতে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা হলেও ফোড়ার সমস্যা কমাতে এটি দারুন কাজ করে থাকে। কেননা ক্যাস্টর অয়েলের রয়েছে শক্তিশালী ইন্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য।যা ফোড়া সারাতে দারুন কাজ করে থাকে। ফোড়া আক্রান্ত স্থানে এই তেল ব্যবহার করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যথা কমে যাবে।

শেষ কথা,

 আশা করি ইতিমধ্যে ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া চিকিৎসা ও কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে ফোঁড়ার ব্যথা ও যন্ত্রণা কমানো যায় এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। পোস্টটি পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন  তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url