রমজানে করণীয় ও বর্জনীয়

 

রমজানে করণীয় ও বর্জনীয়

আমাদের দেশে প্রচলিত একটা কথা আছে " আরে রমজান মাসে বেশি খেলে কিছু হয় না"!  

এই ভুল একটা বিশ্বাসের মাধ্যমে মানুষ অনেক ভুল কে সঠিক বলে প্রমাণ করতে চায়।

একদিন খেলে কিছু হয় না এটাও তেমনি এক ক্ষতিকারক ডায়লগ। একদিন আসলে কত টুকু পরিমানে খাচ্ছেন তার উপরে নির্ভর করছে কিছু হওয়া না হওয়া।।।

অনেকদিন পর আপনি মিষ্টি খেলেন এক পিস আসলেও কিছু হবে না। কিন্ত একদিন খেলে কিছু হবে না ভেবে যদি ৮/১০ পিস মিষ্টি একবারে খেয়ে ফেলেন তাইলে কিন্ত শেষ! 

যারা ডায়েট করেন তারা রমজানে মাসে আরো সুন্দর ভাবে সেই ডায়েট মেইনটেইন করে যেতে পারবেন। আজকের পোস্ট টা তাদের জন্য যারা ডায়েটে আছেন এবং রোজার মাসেও ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে চান।।।

করনীয় টিপস:

১. রোজার আগে ওজন টা চেক করে নিবেন

২. আপনি যেই ডায়েটিশিয়ান এর আন্ডারে আছেন রোজার আগে তার সাথে আরেকবার কনসাল্ট করে নিন

৩. যারা নিজে থেকেই ডায়েট করছেন তারা খাতা কলম নিয়ে বসুন এক মাসের মেনু প্লান করে ফেলুন

৪. আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে রোজার মেনু পরিবর্তন হতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন

৫. ইফতারে অনেক আইটেম মানেই অপচয়!  খাবারের সংকট থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখুন। অল্প খাবারে সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন

৬. সপ্তাহ ১ দিন ইফতারে মজার খাবার, পছন্দের খাবার রাখুন

৭. প্রতিদিন ভাজা পোড়া অনেক আইটেম না রেখে এভাবে রাখুন

 রমজানে সাহরি ও ইফতারির স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকা

১ দিন ছোলা মুড়ি পিয়াজু

১ দিন ছোলা মুড়ি বেগুনী 

১ দিন হালিম

১ দিন খিচুড়ি

এভাবে একেক দিন একেক আইটেম রাখতে পারেন। 

৮. যারা ডায়েট চার্ট এর মেনু গুলাই রাখতে চাচ্ছেন তারা পুরা চার্ট কে ৩ ভাগে ভাগ করে একভাগ ইফতারে রাখুন। আরেক ভাগ তারাবীর পর আর শেষ ভাগ সেহেরি তে।

৯. ডিম দুধ বাদ দিবেন না। তারাবী নামাজের পর হালকা খাবার রাখা উত্তম সেক্ষেত্রে ডিম ১ টা দুধ ১ গ্লাস খুব ই পুষ্টিকর ও আরামদায়ক খাবার।

১০. সেহেরী তে শক্তিদায়ক খাবার রাখবেন। যা অনেক সময় ধরে আপনাকে লুকায়িত এনার্জি দিয়ে যাবে।

দই চিড়া কলা

দুধ ওটস কলা

সাথে খেজুর ১/২ পিস, সাথে ডিম

এছাড়াও ভাত ডাল ডিম / মাছ এগুলাও খেতে পারবেন

১১. যেই খাবার গুলা পানি শুষে নেয় শরীর থেকে সেই আইটেম সেহেরি তে রাখবেন না। তাহলে লম্বা সময়ের রোজায় শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যাবে। যেমন ভাজা পোড়া, তৈলাক্ত খাবার

ডায়েটের সাথে যাদের এক্সারসাইজ আছে তাদের চিন্তা নাই।যদি সারাদিন ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন সাথে তারাবী পড়েন তাহলে আলাদা করে ব্যায়াম লাগে না। তবে অনেকে তারাবীর পর খেয়ে দেয়ে ১৫/২০ মিনিট হেটে আসেন এতেও সমস্যা নাই।

এভাবে কিছু নিয়ম মেনে চললে ডায়েট খুব কড়াকড়ি ভাবে করতে হয় না। মোটামুটি সব খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়।

দিন শেষে সুস্থ থাকাই আমাদের ব্রত হওয়া উচিত। আয়ু উপর ওয়ালা নিয়ন্ত্রন করেন কিন্ত যেই জীবন টা তিনি আমাদের কে পরীক্ষা করতে দিয়েছেন সেখানে সুস্থ থাকার চেষ্টা জরুরী।

নিউট্রিশনিস্ট  সুমাইয়া সিরাজী। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম