ডায়াবেটিস কেন এত বিপদজনক??
উত্তরটা লুকিয়ে আছে গ্লুকোজ আর ইনসুলিনের এনজিওপ্যাথি সৃষ্টির ক্ষমতার মধ্যে।
আমাদের আর্টারি বা ধমনীগুলোর গায়ের পাতলা আবরন যখন অতিরিক্ত গ্লুকোজ বা অতিরিক্ত ইনসুলিন অথবা উভয়েরই সংস্পর্শে আসে, তখন সেখানে অত্যন্ত ছোট ছোট প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশনের সৃষ্টি হয়।
এই লোকাল ইনফ্ল্যামেশানকে দূর করতে আমাদের শরীর সেই ক্ষত জায়গার ওপরে প্রলেপ দিতে চেষ্টা করে, ফলে দেখা যায় রক্তে এলডিএল ও ট্রাগ্লিসারাইড বেড়ে যায়।
এর ফলে সাময়িকভাবে ঐ ক্ষত নিরাময় হয় ঠিকই, কিন্তু সারাক্ষনই সুগার-ইনসুলিন লেভেল রক্তে বেশি থাকলে ক্রমেই সেখানে ক্ষত নিরাময়কারী আবরনটা মোটা হতে থাকে।
একটা সময় এই আবরন মোটা হতে হতেই ধমনীগুলো অকার্যকর হয়ে যেতে থাকে। প্রথমে দেখা যায় চোখ/কিডনি/হাত পায়ের সরু ধমনী বন্ধ হয়েছে, পরে ধীরে ধীরে তা বাড়তে বাড়তে বন্ধ হয় হার্ট/ব্রেইনের ধমনী। স্ট্রোক ও হার্ট এটাক আধুনিক পৃথিবীতে মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারন। একইভাবে অন্ধত্ব, কিডনি ফেইলার ও পঙ্গুত্বের অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে ডায়বেটিস।
ডায়বেটিক হওয়ার সাথে সাথে প্রথম যে কথাটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে তা হল যদি আমরা শরীরের বাড়তি চিনি ও চর্বি ঝরিয়ে ফেলতে পারি, তবে এই রোগ থেকে হওয়া মারাত্মক উপসর্গগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।
আর এই বাড়তি চিনি ঝরাতে আপনার সময় লাগবে মাত্র ৩ দিন। ৩ দিনের ১৮ ঘন্টা ফাস্টিং উইথ লো কার্ব ডায়েট+স্ট্রেন্থ ট্রেইনিং আপনার শরীরের অধিকাংশ গ্লাইকোজেন বের করে দিতে সক্ষম।
এরপর আপনার শরীর চলবে নিউট্রিশনাল কিটোসিসের মাধ্যমে, যেখানে ক্রমেই আপনি শরীরের ফ্যাট পুড়িয়ে চলতে শুরু করবেন।
বেশিরভাগ মানুষের শরীরে প্রায় ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার ক্যালরি পরিমান ফ্যাট জমানো অবস্থায় থাকে। এই ফ্যাটের অন্তত ৩৩% খরচ করে ফেললেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রন একেবারে সহজ হয়ে যায়।
ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সকে সম্পুর্ন রিভার্স করতে চাইলে মানসিক ও আর্থিক প্রস্তুতি নিন এবং ১ থেকে ২ বছরের জন্য ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করুন।