শিশুদের টিফিনে বা বিকালের নাস্তায় যোগ করতে পারেন কাচা কলা!
আলুর প্রতি অতিমাত্রায় নির্ভরতা কমাতে এই কাচা কলা হতে পারে বিকল্প একটি খাবার।
সেই সাথে তুলনামূলক সবজির বাজারে *দামে কম মানে ভালো* একটা খাবার এই কাচা কলা!
কিভাবে কাচা কলা দিবেন....
১. কাচা কলার চপ
২. কাচা কলার কাবাব
৩. কাচা কলার চিপস
৪. কাচা কলার ফিংগার
মূল উপাদান টাকে ঠিক রেখে আপনি নিজেও কোন রেসিপি বানাতে পারেন!! আপনার শিশুর পছন্দ অনুযায়ী সেই খাবার টি প্রস্তুত করবেন।
♠যেভাবে আলুর চপ করেন সেভাবেই কাচা কলার চপ করবেন! সাথে একটু ডিম দিয়ে দিলে বেসনে ডুবানো লাগে না!
♠কাচা কলার কাবাব একি রকম মাংসের কাবাবের মত। শুধু ডাল টা লাগবে না। অল্প কাবাব মশলা এড করলে বুঝতেই পারবেন না মাংস না কাচা কলার কাবাব খাচ্ছেন!
শিশুদের শীতকালীন স্কুল টিফিন কেমন হওয়া উচিত
মাঝেমধ্যে এর সাথে অল্প চিকেন কিমা বা কুচি এড করলে বাচ্চারা আরো আগ্রহ পাবে! তবে অনুপাত যেনো ২:১ হয়। অর্থাৎ কাচা কলা বেশি, অল্প চিকেন নামেমাত্র!
♠আলুর ফ্রাই বা চিপস না করে কাচা কলার ফ্রাই বা চিপস করে দিতে পারেন! খেতে বেশ সুস্বাদু হয়।
♠কাচা কলার ফিংগারে, মাছ কিমা করে এড করতে পারেন এতে বাচ্চারা মাছ ও খেলো কলার পুষ্টিগুন গুলো গেলো!
অথবা বড়ার সাইজেও করতে পারেন।
♠যেদিন বাচ্চা সবজি খাচ্ছে না সেদিন এই কাচা কলার ১ টা চপ গরম ভাতের সাথে দারুন কম্বিনেশন হবে।
আপনারা জানেন যে আলু সরল শর্করা। রক্তে দ্রুত মিশে গ্লুকোজ লেভেল বাড়ায়।শর্করা জাতীয় খাবার বেশি খেলে খাবারের প্রতি ঝোক বাড়ে বাচ্চাদের! তাই অতিমাত্রায় শর্করা খাবারের জন্য ভালো নয়।সেক্ষেত্রে কাচা কলার বিকাল বা সকালের টিফিনে বিকল্প খাবারে জায়গা করে নিতে পারে অনায়াসে।কারন কাচা কলায় আশ বেশি! আশ বেশি থাকায় তা শিশুদের পেট ভরে রাখবে ক্ষুধা কমাবে!
এছাড়াও যে পুষ্টিগুন থাকে.....
কাঁচা কলায় রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬ ও ভিটামিন-সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফেট।এতে কার্বোহাইড্রেট কমপ্লেক্স স্টার্চ হিসেবে থাকে। কাঁচা কলার ভিটামিন বি-৬ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। এর মধ্যে জটিল শর্করা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে খুব দ্রুত মাত্রা বাড়তে দেয় না।
মনে রাখবেন, কোন নতুন রেসিপি বা খাবার চট করে টিফিনে দেয়া যাবে না। আগে বাসায় ট্রাই করে বাচ্চা সহ নিজেরা খাবেন এরপর টিফিন মেনুতে এড করবেন।
বিকালে সবাই মিলে এই নাস্তা ট্রাই করলে বাচ্চাও সবাইকে দেখে অনুকরণ করে খাওয়া শিখবে। একা আলাদা মেনু করে দিলে সে খেতে চাইবে না আপনারা কি খাচ্ছেন সেদিকে তাকাবে।
সতর্কতাঃ
১. যেই বাচ্চাদের অতিমাত্রায় কোষ্ঠকাঠিন্য বা টয়লেট শক্ত তাদের ক্ষেত্রে কাচা কলা খেলে আরো বাড়তে পারে।
২. উপরের রেসিপি গুলো যেহেতু তেল থাকবে তাই যেসকল বাচ্চার এসিডিটির সমস্যা বেশি তারা খালি পেটে না খাওয়াই উত্তম
৩. বড়দের ক্ষেত্রে যাদের রক্তে পটাসিয়াম বেশি হাই পেশার, কিডনি সমস্যা তাদের জন্য এই খাবারে নিয়ন্ত্রন রাখা প্রয়োজন !
***তেল খাবারে থাকা ক্ষতিকর নয় বাচ্চাদের জন্য! তবে আপনি দিনে কত তেল ব্যবহার করছেন,কি পরিমানে তেলের খাবার দিচ্ছেন সেটা খেয়াল রাখতে হবে***
পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।