কিভাবে আপনার সন্তানকে খাওয়াবেন
♥ মোটা বাচ্চা মানেই সুস্থ , শুকনো বাচ্চা মানে অসুস্থ তা কিন্তু নয় । ওজন কমের দিকে , অন্য কোন অসুখ নেই , ঘন ঘন অসুস্থ হয় না , এ রকম বাচ্চার আসলে তেমন কোন অসুবিধা নেই । এটা অনেকসময় পরিবেশগত বা পারিবারিক । অনেক বাচ্চা কম খেয়েই ওজন ঠিক থাকে ও নিয়মিত বাড়ে ।এ রকম হলে চিন্তার কিছু নেই । মা রা বলে , সবাই বলছে বাচ্চা শুকনো এগুলিতে কান দেবেন না । সুস্থ থাকলেই চলে । ফাষ্টফুডের যুগে ওজন কমানোটাই সমস্যা । একটু বড় হলেই মানে টিন এজে পড়লেই অনেকের ওজন বাড়া শুরু হয় । একটু ধৈর্য্য ধরলেই হয় । বাচ্চার আদর মানেই কিন্তু বেশী খাওয়ানো নয় বরং যত্ন টা খাওয়ার উপর না দিয়ে তাকে কোয়ালিটি টাইম দেয়া বা তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়া বেশী জরুরী ।
♦♦♦ সারাদিনে ৫ বার ই খাবার দেবেন । তিন টা বড় খাবার সকাল, দুপুর , রাত । এবং মাঝখানে দুটা নাস্তা । এই নাস্তা চাইলে আরো দুবার দিতে পারেন।
সকাল ৮:০০ টায় : সকালের নাস্তা
১১:০০ টায় : একটা স্ন্যাক্স
০১: ০০ টায় : দুপুরের ভাত
০৪: ০০ টায় বিকালের নাস্তা বা স্ন্যাক্স
০৬: ০০ টায় আরেকটি স্ন্যাক্স
০৯:০০ টায় রাতের খাবার
এভাবে ৩ ঘন্টা পর পর মিল টাইম সেট করতে পারেন । মাঝের সময় টুকু , কোন খাবার দিবেন না । স্ন্যাক্সগুলো বেশী পুষ্টিকর করে তৈরী করুন । নীচে কিছু পুষ্টিকর স্ন্যাকস দেয়া হল ।
♠ সকালের নাস্তা কোন ভাবেই বাদ দেবেন না । অনেক বাচ্চা সকালে খেতে পারে না । একটু দেরী করে খেতে দিন বা স্কুলে ভারী টিফিন দিন ।
♠ কি খাবার দিবেন :
এটা সবাই জানে যে ডিম , দুধ , দই , মাছ , মাংস , বাদাম , ফলমুল , এইসব খাবার দিতে হয়।
♠ কি ভাবে দেবেন :
→প্রতিদিন একটা ডিম দিন । এক ভাবে খেতে না চাইলে অন্য ভাবে দিন । পোচ , পুডিং , এগশেক, সিদ্ধ , পানিপোচ , মামলেট ।
→দুধ দিন দুই বেলা । খেতে না চাইলে দই , দই এর সাথে ড্রাই ফ্রুট কিসমিস , বাদাম মেশাতে পারেন । পনির দিতে পারেন ।
শিশুদের টিফিনে কাঁচা কলার রেসিপি
দুধ , ডিম , চিনি মিশিয়ে গরম করলেই এগশেক তৈরী হয় । খেতে মজা ও স্বাস্থ্যকর ।
→কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ ফল কলা দিন । খেতে না চাইলে , দুধে মিশিয়ে বানানাশেক বানিয়ে দিন । এভাবে আম , পেপে , যে কোন মৌসুমি ফল বা শেক বনিয়ে দিন।
→শুকনো ফল খেজুর , কিসমিস , বাদাম এতে ক্যলরি বেশি । সুযোগ হলেই এগুলো খেতে দিন , দই এর সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন
→পী নাট বাটার খুব স্বাস্হ্যকর । বাসায় বানিয়ে দিন । এককাপ চানাবাদাম , আধাকাপ চিনি , এক চা চামচ ঘি । ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। হয়েগেল তৈরী । পাউরুটি বা বিস্কিটে লাগিয়ে দিন।
→ডিম দিয়ে পাস্তা , নুডুলস তৈরী করে দিন ।
→আলু ভেজে ফ্রেন্চ ফ্রাই করেদিন ।
→চিকেন বা মাছ ফিলে করে ময়দায় ডুবিয়ে হাই ক্যলরি ফ্রাই তৈরী করেদিন ।
→আলু বা দই , চা এতে ক্রিম মেশাতে পারেন,
→starchy সব্জী আলু , ফুলকপি , মিষ্টি কুমডা , মিষ্টি আলু বেশী বেশী দিন ।
→বাসায় বানানো পাউরুটিতে বাটার লাগিয়ে দিন ।পনির ও দিতে পারেন ।
→বুটের ডালের বা মসুর ডালের হালুয়া করতে পারেন।
→প্রতিদিন বাসায় ফলের রস তৈরী করে দিন।
→নিয়মিত ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস রাখুন।
→প্রচুর পানি খেতে দিন।
♠ দিনে ৫০০ ক্যালরি খাবার এক্সট্রা দিন , এতে তার সপ্তাহে , দুসপ্তাহে ১ পাউন্ড ওজন বাড়বে ।
♠ রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধদিন ।
♠ হাইপ্রোটিন , হাই কার্বোহাইড্রেট , হাই ফাইবার এবং মধ্যম মানের ফ্যাট দিন ।
♠ যা দেবেন ঘরে তৈরী করে দিন । দোকানের বার্গার , জুস , কোক ফান্টা , চিপস এসব একেবারেই দেবেন না ।
♠ খাওয়ার আগে পানি খেতে দেবেন না ,
♠ প্রতি মিলের পরেই একটা কলা বা বেনানা শেক খেতে দিন ।
♠ প্রতিদিন অল্প অল্প করে খাওয়ার পরিমান বাড়ান , একসাথে বেশী দিতে গেলে ডায়রিয়া হতে পারে ।
♠ রেগুলার ব্যায়াম বা হাটার অভ্যাস রাখুন । কিন্তু এরোবিক্স করা যাবে না ।
♠ সকালের নাস্তায় অবশ্যই একটা বানানামিল্ক শেক বানিয়ে দিন ।
♠ খাবার সাজিয়ে দিন । বড় প্লেটে একবারে বেশী করে খাবার নিন।
♠ ভাল ঘুম হয় যেন লক্ষ্য রাখুন ।
♠ কিছু হাই ক্যলরি খাবার হল পনির , পুডিং , বাদাম , বাটার , ডিম , মিষ্টি আলু, পি নাট বাটার , দুধ , দই , মাংস , মাছ।
♠ প্রতি সপ্তাহে ওজন মাপুন ও লিখে রাখুন । চার্টে চলে আসলেই , ওজন বাড়ানো ছেড়ে দিন ।
♠ মনে রাখবেন বেশী মোটা মানেই কিন্তু সুস্থ নয়…
পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।