মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা

মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা

মাথা ব্যাথার কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিনঃ

মাঝে মধ্যে মাথা ব্যাথার সমস্যায় ভোগেননি এমন মানুষ আমাদের চারপাশে পাওয়াই যাবে না। আসুন জেনে নেওয়া যাক মাথা ব্যাথার প্রধান কয়েকটি কারন এবং তার প্রতিকার।

বিভিন্ন কারনে যে কারো মাথা ব্যাথা হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি যে দুটি কারনে মাথা ব্যাথা হয় তার একটি হলো মাইগ্রেন জনিত সমস্যা আর অপরটি অতিরিক্ত টেনশান অথবা স্ট্রেস। এছাড়া ঘুম কম হলে বা কোষ্ঠকাঠিন্য হলেও মাথা ব্যাথা করতে পারে।  

প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে মাথা ব্যাথা কমাতে আমরা পেইনকিলার জাতীয় ঔষধ খেয়ে থাকি, যার ক্রমাগত ব্যবহার কোন অবস্থাতেই শরীরের জন্য ভাল নয়। প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে কিছু সমাধান আছে যার মাধ্যমে মাথা ব্যাথা কমাতে, এমনকি পুরোপুরি সারিয়েও তুলতে পারে। 

 কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সহজ উপায় 

১। বরফ মাথা ব্যাথা কমাতে বেশ কার্যকরী। কিছু বরফের টুকরা ভেঙ্গে একটা কাপড়ে পেচিয়ে ৫-১০ মিনিটের মত সময় মাথার যে অংশে ব্যাথা করছে সেখানে লাগিয়ে রাখুন এভাবে দিনের মধ্যে কয়েকবার করুন। বরফ ফুলে যাওয়া ব্লাড ভেসেল গুলোকে শিথিল করে ব্যাথা কমিয়ে দেয়। মাথা ব্যাথা শুরু হওয়ার পর যত দ্রুত এটা করবেন তত বেশি উপকার পাবেন। 

২। টেনশনের কারনে মাথা ব্যাথা হলে ২ ফোঁটা অ্যালমন্ড অয়েল অথবা যে কোন তেলের সাথে ১ ফোঁটা পিপারমিন্ট অয়েল মিশিয়ে মাথা ব্যাথার জায়গায় লাগালে উপকার পাবেন।পিপারমিন্ট অয়েল না পেলে, পুদিনা পাতার রসও ব্যবহার করতে পারেন। 

৩। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মতে আদা মাথা ব্যাথার জন্য বেশ উপকারী। এজন্য ১ চা চামুচ আদা বাটা ৫০০ মিলিলিটার গরম পানিতে মিশিয়ে ফ্লাস্কে রেখে সারাদিন অল্প অল্প করে খেতে হবে।চাইলে সাথে ১ চা চামুচ লেবুর রস ও ১ চা চামুচ মধু যোগ করতে পারেন।  

৪। স্ট্রেস এর কারনে মাথা ব্যাথা হলে দিনে ২ টেবিল চামুচ অ্যালোভেরার জুস খেলে উপকার পাবেন।

৫। সারা রাত ঘুমাতে না পারার কারনে সকালে মাথা ব্যাথা করলে ২ চা চামুচ অ্যাপেল সিডর ভিনেগার ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ চা চামুচ লেবুর রস ও ১ চামুচ মধু মিশিয়ে ধীরে ধীরে খেলে মাথা ধরা কমে যাবে।

সাধারন মাথা ব্যাথায় এই পদ্ধতি গুলি ভাল কাজ দেবে, তবে মাথা ব্যাথা যদি তিব্র আকার ধারন করে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 

Next Post
No Comment
Add Comment
comment url